সারা বিশে^ করোনা ভাইরাসের ছোবল শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে ৮৯৩ ব্যক্তি আশাশুনিতে ফিরে এসেছেন। এদের অধিকাংশই হোম কোয়ারেনটাইনে না থাকায় জনমনে ভীতি সঞ্চার করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
সরকার বিভিন্ন বিমান বন্দরে ও স্থল বন্দরে বিদেশ থেকে আগতদেরকে করোনা ভাইরাসের জীবানু বহন করে কেউ দেশে ফিরছেন কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। সকলের জন্য ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরও অনেকে কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই দেশে এসেছেন এমন অভিযোগ টিভি ও পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। আশাশুনি উপজেলায় মার্চ মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৮৯৩ ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। এদের বেশীর ভাগই এসেছেন ভারত থেকে। স্থল বন্দর ও চোরাই পথে এসব ব্যক্তি দেশে ফিরে এসেছেন। তারা এলাকায় আসার পার থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকেননি। বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়। এপর্যন্ত বেশ কিছু মানুষের খোঁজখবর নেওয়া ও বাধ্যতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়েছে। বাকীরা এখনো যথারীতি বাইরে গমন করছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ইতঃপূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশকে দিয়ে প্রচার প্রচারনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সবশেষে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুুটি বাতিল করে ১১ ইউনিয়নে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য মনিটরিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে। এলাকায় ফিরে আসা ৮৯৩ ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সম্বলিত তালিকা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত এসব বিদেশ ফেরৎ ব্যক্তিদের একটি অংশ ইতোমধ্যে ১৪ দিন পার করায় তাদের নিয়ে সন্দেহ দূর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। কমিটি রোববার থেকেই কাজ শুরু করেছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে নির্দিষ্ট বাড়িতে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে অবস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, বিদেশ থেকে এলাকায় ফিরে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেনটাইনে অবস্থান নিশ্চত করা ও দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে গঠিত কমিটি দায়িত্ব শুরু করেছে। সকলে সচেতনার পরিচয় দিলে দ্রুত সময়ে এর সফলতা পাওয়া যাবে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।