গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭৯ জন কোয়ারেন্টাইনে আওতায় আনা হয়েছে। ৭৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ভৈরবে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে সোমবার (২৩ মার্চ) পর্যন্ত ৩৭১ জন হোম কোয়ারেন্টাইন ও ৩০ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮ জন, হোসেনপুর ২৪ জন, করিমগঞ্জে ২১ জন, তাড়াইলে ৯ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩০ জন, কটিয়াদীতে ১০২ জন, কুলিয়ারচরে ২৫ জন, ভৈরবে ৭৭ জন, নিকলীতে ৩ জন, বাজিতপুরে ১৩ জন, ইটনায় ১১জন, মিঠামইনে ১২ জন ও অষ্টগ্রামে ১৬ জন ও ভৈরবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫ জন করে মোট ৩০ জন রয়েছে।
এর মধ্যে ভৈরব ও অষ্টগ্রামের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রোববার রাতে ভৈরবের পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আবদুল খালেক (৬০) নামে ইতালিফেরত এক প্রবাসী করোনায় মৃত্যু হয়েছে। ভৈরবজুড়ে এখন মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাড়ানো হচ্ছে। এজন্যে জেলার হাওর অধ্যুষিত উপজেলা অষ্টগ্রামের তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ে, ভৈরবের ট্রমা হাসপাতাল ও সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে রোববার থেকে কিশোরগঞ্জ আদালত পাড়ায় জনসমাগম থেকে বিরত ও জেলার সকল আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে শুধুমাত্র জরুরী জামিন বিষয়ক শুনানী ব্যতীত।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে গত ১৫ দিনের মধ্যে যারা এ জেলায় এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া, তিন মাসে আগে যারা এসেছেন তারাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের তালিকা তৈরি করে হাসপাতালে এনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রতিটি গ্রামে, ওয়ার্ডে, ইউনিয়ন ও পৌরসভায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।