করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাবনার চাটমোহরে সকল এনজিওকে ঋণের কিস্তি আদায় না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার সকালে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। মাইকিং করা হয় সর্বত্র। করোনা থেকে বাঁচতে দোকানপাট ও চাস্টল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ব্যবসা অনেকাংশে বন্ধ করতে হচ্ছে। এতে দিনমজুররা শ্রম বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে ঋণগ্রস্থরা কিস্তি পরিশোধে হিমসিম খাচ্ছেন। এ কারণে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চাটমোহরের সকল এনজিওকে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
ওবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউএনও জানান,করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। একসাথে বেশি মানুষের সমাগমের কারণেও করোনা ছড়াতে পাড়ে। তাই সকলকে কেনাকাটা থেকে শুরু করে সকল কাজে ঘরের বাহিরে কম বের হতে বলা হয়েছে। তাছাড়া করোনা রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে,আশা,ব্র্যাক,গ্রামীণ ব্যাংক,জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন,সেতু,জাগরণী সমাজ কল্যাণ সংস্থা,সাজেদা ফাউন্ডেশন,টিএমএসএস,পিসিডিসহ চাটমোহরে ছোট-বড় প্রায় ২৫টি এনজিও ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব এনজিও থকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ সুবিধা নিয়েছেন। সপ্তাহের ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিনই এনজিও কর্মীরা কিস্তি আদায় করা হয়। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ বন্ধ হওয়ায় তারা কিস্তি দিতে পারছিলেন না। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই গরু-ছাগল পালন করছেন। উপজেলার বাইরে অনেকে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গ্রামে এবং বাইরে কোথাও কাজের জন্য যেতে পারছেন না। অথচ এনজিওগুলোকে ঠিকই কিস্তি দিতে হয়। এখন কিস্তি আদায় বন্ধ হওয়ায় তারা স্বস্তি পেয়েছেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান জানান, যারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা পরিস্থিতি শিথিল না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আর কিস্তি দিতে হবে না।