বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রকোপ দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ল্যাবের দাবি করেছেন আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলা প্রশাসন সহ সচেতন মহল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হলেও পরিক্ষার জন্য কোন যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল আসে নাই। জনগণকে সতর্ক করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানাগেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় সার্বিক সতর্কতা ও ব্যবস্থাপনার অংশহিসেবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সুনিল কুমার বাড়ৈ। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করার কাজটি স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে স্থানীয় প্রশাসন একযোগে করে যাচ্ছে। তবে সরকারি হিসেবে যে পরিমাণ প্রবাসী আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে উপজেলার মানুষের মাঝে এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রকট হওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা শুরু হওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়াও দাবী করেছেন ওই সভায়। সেলক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে আলাদাভাবে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোন রোগীকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা যায়নি দু উপজেলায়। তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রকট হলে এই উপজেলায় আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে। ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রকট হওয়ার ক্ষেত্রে এর সনাক্তকরণের জন্য করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডাক্তার মো. বখতিয়ার আল-মামুন জানান, কারও শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। করোনাভাইরাসজনিত রোগপ্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার স্বার্থে ডাক্তার নার্স কর্মীদের উপকরণ দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো আমরা পাইনি।
এব্যপারে বরিশাল সিভিল র্সাজন ডাক্তার মো. মনোয়ার হোসেন জানায়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের পরিক্ষা ঢাকার বাহিরে কোন জেলাতে নেই। ডাক্তার নার্স কর্মীদের জন্য চাহিদার তুলনায় অনেক কম উপকরণ আসছে।