শিবচরের সাথে ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শিবচরের সাথে ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে শিবচরের সাথে ফরিদপুরের দুটি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।
পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তিনি বলেন, শিবচর আগে থেকে লক ডাউন করায় তার সীমান্তবর্থী ফরিদপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের ক্ষেত্রে এ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এসকল ইউনিয়ন হলো, সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ও চরনাসিরপুর ইউনিয়ন এবং ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা, আজিমনগর ও চান্দ্রা ইউনিয়ন।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরনাছিরপুর ও চরমানাইর দুটি ইউনিয়নের পার্শ্ববতী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সাথে যোগাযোগ পথ বিছিন্ন করে দিয়েছে সদরপুর থানা পুলিশ।
সোমবার সকাল ১১টায় সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ নির্দেশ দেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই দুটি ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পেশার শত শত লোকজন ব্যবসা বানিজ্য, চিকিৎসা সেবার জন্য যাতায়াত করতেন। ইতোমধ্যে শিবচর উপজেলার জনগোষ্টীকে বিশেষ তদারকি রাখা এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সীমান্তবর্তী এলাকায় সদরপুর থানা ও শিবচর থানার পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ও নিরাপত্তার কথা ভেবে সীমান্তবর্তী এলাকার যাতায়াত পথ বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে না।
এ ব্যাপারে চরনাছিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. আক্কাছ আলী জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শিবচরের সাথে যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। ইউনিয়নের জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিংসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
চরমানাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। যাতায়াত পথে কেউ প্রবেশ করছে না।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান, চান্দ্রায় শুধু মহা সড়ক পড়ায় সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। আজিম নগর ইউনিয়নের পাথরাইল এলাকায় ও কালামৃধা ইউনিয়নের কালামৃধা বাজার এলাকায় দুটি চেকপোষ্ট বাসানো হয়েছে। ওইখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সাহায্য করছে গ্রাম পুলিশ ওএলাকার সচেতন লোকজন। জনগণকে বুঝিয়ে শিবচরে যাওয়া ও ভাঙ্গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।