সাঁথিয়ায় গরু-বাছরের ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব। এ রোগে প্রায় ১৫টি গরু-বাছুর মারা যাওয়ায় খামারী দিশাহারা হয়ে পড়েছে। মেডিক্যাল টিম গঠন করে ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের দিয়ে ব্যাগসিনেশন করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ থেকে সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই গ্রামে গরু-বাছুরের ক্ষুরা রোগ দেখা দেয়। এলাকার খামারিরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা করলেও খোড়া রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রায় ৫০/৬০টি খামারির খামারের গরু-বাছুর খোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গত ১০ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত সোনাতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের হারুন-অর রশিদের ৩টা, একই গ্রামের খামারি আবদুল জলিলের ৩টা, টুকু মোল্লার ২টা, আয়েজ উদ্দিনের ১টা, বকন বাছুরসহ প্রায় ১৫টি গরু-বাছুর মারা গেছে বলে জানা যায়। ক্ষুরা রোগের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুনার রশিদ ও উপসহকরী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহজাহান কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মেডিক্যাল টিম গঠন করে খামারিদের গরু-বাছুরের চিকিৎসাসহ ব্যাগসিনেশন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সোনাতলা, আমোষ,বোয়াইলমারী, নড়িয়াগদাই, জোড়গাছা গ্রামের খামারিদের প্রায় ৪০/৫০টি গরু-বাছুর ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুনার রশিদ জানান, অফিসে জনবল কম থাকায় ১জন মাত্র উপসহকরী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে নিয়ে আক্রান্ত গরু-বাছুরের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম গঠন করে অন্যান্য গরু-বাছুরের ব্যাগসিনেশন করা হচ্ছে। যে কয়েকটি মারা গেছে সে গুলি প্রায় বাছুর। বর্তমানে রোগ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভাব হয়েছে।