ব্যক্তি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু হয়েছে উপকুলীয় জনপদ কয়রা সদর। চারদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়ছে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, জনসমাগম আগের মতো নেই, গণপরিবহনে নেই আগের মতো চাপ, মার্কেটগুলো বন্ধ দেখা গেছে। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, খাবার হোটেলগুলো শুধু বন্ধের অপেক্ষায়। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে শুধু ক্রেতা। তাও আবার আগের তুলনায় কম। বেড়ে গেছে কিছুকিছু জিসিনপত্রের দাম। খুব প্রয়োজন ছাড়া সারাদিন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আর কর্মজীবি মানুষ বাইরে বের হলেও তাদের চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন। কয়রা-চাঁদআলী সড়কে পরিবহনের সংখ্যাও কমে এসেছে। তবে আগের তুলনায় হাট-বাজারেও জনসমাগম কমছে। আবার যারা গ্রাম থেকে কয়রা সদরে এসে বসবাস করছিলেন তাদের অনেকেই করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গ্রামের বাড়িতে যেতে শুরু করেছেন। বুধবার সকাল থেকে এ রকম হঠাৎ চিত্র দেখা গেছে উপকুলীয় জনপদ কয়রাার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ পর্যন্ত ১৪১ জন বিদেশ ফেরত মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে যাদের ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস থেকে সর্তক থাকার জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন। মানুষকে সচেতনতা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেখে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লিফলেট করা হয়েছে। হোটেল ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, হোটেলে ক্রেতাদের চাপ নেই। এভাবে চললে খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে ওষুধের দোকানে। ওষুধ কিনতে সাধারন মানুষের ভিড় লক্ষ্যে করা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত কয়রায় করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিদেশ ফেরতদের প্রতি সর্তক রয়েছি। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারন মানুষকে সচেতনতায় করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।