পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী গ্রামের ২৫ বছরের এক যুবক গত ২২ মার্চ ঢাকা থেকে জ¦র, কাশি, পেটব্যাথা নিয়ে বাউফলে লঞ্চযোগে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
গতকাল রাতে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তর আখতারুজ্জামান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। পরে সে তার নিজ বাড়ীতে না গিয়ে পাশ্ববর্তী দাস পাড়া গ্রামের শ্বশুুর বাড়ীতে যায়। সেখানে গিয়ে বমি শুরু হলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়ে ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন, পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের এম্বুলেন্সে করে রাত ৯ টার দিকে বরিশাল পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, নোমান নামের ওই রোগীর রোগ শনাক্তের জন্যে বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে, তবে তার বিদেশ ফেরত কারও সাথে যোগাযোগের কোন খবর না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক ভাবে আইসোলেশনেও নেয়া হয়নি। যেহেতু সে এখন বমি করছে পেট ব্যাথা আছে সাথে জ্বর সর্দিও আছে তাই নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, নোমানের শরীরের উপসর্গের কথা চিকিৎসক অবহিত করার পরে তাকে দ্রুত বরিশালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং তার শশুরবাড়ির এবং নিজ বাড়ির সকল লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ।
এ বিষেয়ে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা ন্যাশনাল প্রটোকাল অনুযায়ী বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: মো: আখতারুজ্জামান ওটিএইচও প্রশান্ত কুমার সাহা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের শোকজ করা হয়েছে, এছাড়াও ডা: আখতারুজ্জামানকে এবং এ্যাম্বুলেন্স চালক হোম কোয়রেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সটি জীবানুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।