রাজশাহীর তানোরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে সর্বাক্ষণিক টহল দিতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বেরুচ্ছে না। আবার কোন স্থানে বা বিভিন্ন মোড়ে সাধারণ মানুষ আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখে পড়লে লাঠি চার্জ করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।
অপরদিকে, ঘোষনা অনুযায়ী এখানকার সব হাট-বাজারের দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বুধবার (২৫মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৫টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন দোকানপাঠ খোলা দেখা যায়নি। অপরদিকে, বিভিন্ন বাহিনীর নজরদারীতে মানুষ ভয়ে ও আতঙ্কে ঘর বেরও হননি। ফলে বাজার এলাকা জনশূন্য রয়েছে।
তথ্যনুন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পর সকালে উপজেলার সব হাট-বাজার ও দোকানপাঠগুলো জনশুন্য হয়ে পড়ে। হাতেগুনা কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও ঔষুধের দোকন ছাড়া সকল দেকানপাট ঘোষণা মোতাবেক বন্ধ ছিল। কোন দোকানঘর খোলা দেখা যায়নি।
এছাড়াও তানোর থানা কর্মকর্তা ইনর্চাজ (ওসি) রাকিবুল হাসানসহ পুলিশের একটি দল বিভিন্ন স্থানে চিরুণী অভিযান শুরু করে। ফলে ভয়ে ও আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বুধবার সকাল থেকে বিকেলে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন স্থানে মানুষের জমায়েত দেখা যায়নি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: রোজী আরা খাতুন জানান, তানোরে এখন পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। বিদেশ ফেরত ২৮ জনকে ডাক্তারদের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিদের্শনা বলবদ থাকবে।