দেশে অঘোষিত লক ডাউনে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ও মহেশপুর উপজেলাতে সেনাবাহিনী নামায় ও পুলিশি তৎপরতায় শহরে ব্যস্ততম রাস্তা এখন শুনশান নিরাবতা বিরাজ করছে। পাশা পাশি করোনা আতঙ্কে উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে প্রায় রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে।
২৬ মার্চ-এর পর থেকে উপজেলা শহর দুটির ব্যস্ততম সড়ক গুলি এখন শুনশান নিরবতা লক্ষ্য করা গেছে। শহরের কাঁচা বাজার খোলা থাকলেও ক্রেতা কম বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। ওষাধের দোকান ছাড়া অন্যান্য সব দোকান পাট সব বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা হাসপাতাল দুটিতে রোগীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে কমে গেছে। অধিকাংশ রোগীর স্বজনদের ধারণা হাসপাতাল থেকে করোনার বিস্তার ঘটতে পারে। এমন আতঙ্কে তারা ডাক্তাদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ভর্তি রোগী বাড়ীতে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। যে কারণে হাসপাতালটিতে প্রায় রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটিতে মানুষ-জনের চলাচল কমে যাওয়াতে কুকুর বিড়ালের আড্ডা স্থলে পরিণত হয়েছে। যদিও কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রশিদ এফএনএস’কে বলেন- রোগীদেরকে যথেষ্ঠ বোঝানোর চেষ্টা করছি তবুও রোগীরা থাকতে চাচ্ছেন না বা অবিভাবকরা রাখতে চাচ্ছেন না। এমনটা করোনা আতঙ্কে করছে তারা। তিনি বলেন করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য আলাদা বিল্ডিং-এ বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি হাসপাতালটি অন্যান্য হাসপাতাল থেকে যথেষ্ঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্নার দিকে নজর রাখা হয় বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে থানার সেকে- কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন- এপর্যন্ত কোটচাঁদপুর উপজেলাতে ২শ’৫জন দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে আমরা ১শ’৬১ জনের মত হদিস পেয়েছি। অপর দিকে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোরশেদ হোসেন খান এফএনএস’কে বলেন- আমরা এ উপজেলাতে ৫শ’ ৮জন বাইরে দেশ থেকে এসেছেন বলে আমরা একটি লিষ্ট পেয়েছি। তাদের মধ্যে ৩শ’ ৭৬ জনের মত সন্ধান পেয়েছি। বাকীদের ঠিকানাই ভূল। যাদেরকে পাওয়া গেছে তাদের বাড়ী থেকে বাইরে না বেরুতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ১০দিনের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ীতে যারা এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেটিনে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তারা তা মানছেন না কেউই। তারা উন্মূক্ত চলাফেরা করছেন। ফলে এ অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে সঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশ ও সেনাবাহিনী শহরের দিকে বেশী ঘোরা ফেরা করায় শহরের মানুষ জন বাইরে খুব একটা না বের হলেও গ্রামের দিকে তা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে উঠতি বয়সি যুবকদের আড্ডা স্থল আগের মতই রয়ে গেছে।