চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন যখন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন, ঠিক সেই সময়ে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়ার বিরুদ্ধে। তবে তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার তাই বাসাতে অবস্থান করছি।
কয়েকদিন পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোন সামগ্রী পৌছেনি ইউনিয়ন কমিউনিটি সেন্টার গুলোতে। ফলে নিজের টাকা দিয়ে ব্লিচিং পাউডার কিনে স্প্রে করেছেন উপজেলার কসবা, ফতেপুর ও নেজামপুর, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো।
শুক্রবার নেজামপুর ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা নবীউল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজেদের অর্থ দিয়ে ব্লিচিং পাউডার কিনে ক্লিনিকের চারপাশে ছিটিয়েছেন। একই অভিযোগ ফতেপুর ও কসবা ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের উপ-সহকারিদের।
গত ১৮-৬-২০১৯ তারিখে নাচোল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়া যোগদান করেন ভারপ্রাপ্ত পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে। কিন্তু এই কর্মকর্তা তার অফিসের নামফলকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ছলতি দায়িত্বে না লিখে কর্মকর্তা হিসেবেই জাহির করেছেন তিনি। মাঝে মধ্যেই অফিস করেন নিজ বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। হসপাতালে বসে কোন রোগী দেখেন না তিনি, গর্ব করে বলেন, শুধু প্রশাসনিক কাজ করার জন্যই তিনি নাকি এসেছেন এ হাসপাতালে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারা দেশের মানুষ যখন মাঠে কাজ করছেন, ঠিক সেই মহুর্ত্বে নাচোল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়া নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টা স্টেশনে থাকার নিয়ম থাকলেও সরকারী এ নিয়মনীতি মানছেন না এই কর্মকর্তা। সরকাররে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসেও তাকে পাওয়া যায়না। নাচোল হাসপাতালে যোগদানের পর তিনি সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৪ ঘন্টাই কর্মস্থলে থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তিনি কেন এ নিয়ম মানছেননা তা আমার জানা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তদন্ত স্বাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।