নওগাঁর পত্নীতলায় শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন সরকারের মুঠোফোন নম্বর (০১৭৩০৪৬০০০৯) ‘ক্লোন’ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তিনি শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার উত্তরামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজাবুল ইসলাম, ফরিদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল ওহাব, ছোট মহারন্দী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে তাঁদের কাছে ফোন আসে। ফোনে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রণালয় হতে তাঁরা ল্যাপটপ পেয়েছে কিনা? পেয়ে থাকলে উপজেলা পরিষদ হতে তাঁদের আরো একটি ল্যাপটপ সরবরাহ করা হবে, যেটি তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য খরচ বাবদ ৯ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়। তবে ফোন কারীর কণ্ঠস্বর শুনে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে ইউএনও’র কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বিষয়টি ভুয়া বলে তাঁরা নিশ্চিত হন। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি মুঠোফোন নম্বর ‘ক্লোন’ হওয়ার কথা জানিয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকার বলেন, তাঁর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরটি ০১৭৩০৪৬০০০৯ কে বা কাহারা কোন একসময় ক্লোন করেছেন। শিক্ষকদের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন এবং থানায় জিডি করেছেন। এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও’র পক্ষ থেকে একটি সাধারন ডাইরী করা হয়েছে। ডায়েরী নং-১১৩৮, তারিখ-২৭/০৩/২০২০. বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।