রংপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছেছে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ মেশিন পিসিআর ও কিট। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে আসে এসব মালামাল। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে সেটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ একেএম নূর-উন-নবী লাইজু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আইইডিসিআর থেকে বলা হয় মেশিন আসার কথা শেষ পর্যন্ত রাত পৌনে দশটায় মেশিনটি আসে। শুক্রবার রাত থেকেই কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির দুটি রুমে মেশিনটি স্থাপনের কাজ করছে গণপূর্ত বিভাগ। দিনরাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। শনিবারের মধ্যেই স্থাপন হয়ে যাওয়ার আশা করছি।
তিনি আরও জানান, শিক্ষকদের সাথে প্রয়োজনীয় বৈঠক করে মেশিনটি পরিচালনা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য জনবল নিয়োগ দিয়ে শনিবারের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হলে রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে। এজন্য মেডিকেলে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগে স্থাপনের জন্যে কোভিড ১৯ পরীক্ষার মেশিন আনা হয়েছে। রংপুর বিভাগের সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত রোগীদের এ মেশিনে পরীক্ষা করা হবে। শিগগিরই পিসিআর মেশিন চালু হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ মার্চ) লাইভ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব বিভাগীয় হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য পিসিআর মেশিন সরবরাহের কথা জানান আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সেই আলোকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা শনাক্ত করার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। বর্তমানে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ১৭৫ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে একজন ব্যক্তি।