করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে সারা দেশের সাথে একযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতেও বদলে গেছে জীবনচিত্র। প্রশাসনের আহ্বানে মানুষ এখন ঘরে অবস্থান করছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না কেউ। প্রশাসনের ব্যাপক প্রচারনায় অনেকটায় সচেতন হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় কাজকমৃ না থাকায় একেবারে নি¤œ আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বলা যায় বেদে পল্লী। চলমান অবস্থায় দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী যেন তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
এ পরিস্থিতিতে তাবুর মধ্যে থেকে কয়েকদিন ধরে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছিল বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজার সংলগ্ন থাকা ৯টি বেদে পরিবার। এরা প্রায় ২মাস ধরেই এখানে বসবাস করছিল। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম অবগত হওয়ার পরই তিনি শনিবার সকালের দিকে ছুটে যান সেখানে।
উপজেলার কর্মস্থলে থাকা সরকারী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ১০০টি হতদরিদ্র পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টায় শনিবার দুপুরে ৯টি বেদে পরিবারকে ১শত কেজি চাউল, ৩২ কেজি আলু, ১০ কেজি ডাউল, সাবান, তোয়ালেসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করেন। নবজাতকের স্বাস্থ্য উপকরণও বাদ দেননি তালিকা থেকে। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ আলী সরদার উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে উপজেলায় বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আপডেট সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলের সাথে নিয়মিত করছেন যোগাযোগ। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মাঠে রয়েছেন সার্বক্ষন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণ, কঠোর নির্দেশনাসহ প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘বালিয়াকান্দি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে নিজের সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকুই দিতে চাচ্ছি। শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের পাশে থাকবো আমিসহ উপজেলার কর্মকর্তারা। জামালপুরের ৯টি বেদে পরিবারকে চাল, ডাল, আলুসহ নবজাতকের স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। তবে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে খুব সহজেই আমরা এই সংকট মোকাবেলা করতে পারবো। আপনারা ঘরে থাকুন, আমাদেরকে সহযোগিতা করুন’ এই সংকট মোকাবেলায়, খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন।