করোনার কারণে সারাবিশ্ব এখন নাকাল। এর রেশ আমাদের দেশেও চলছে করোনার আতংক। পুরো দেশ এখন অঘোষিত লক ডাউনের মধ্যে দিয়ে পার করছে। করোনা থেকে বাঁচতে মানুষ এখন স্বেচ্ছায় বন্দি রয়েছে। তবে সংকটময় মূহুর্তে কর্মহীন মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। আর এই সংকটময় মূর্হুতে কর্মহীনদের পাশে এসে দাঁড়ালেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে জেলা শহর ও সদর এলাকার বিভিন্ন কর্মহীন মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। পাশাপাশি পরিচালনা করা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন অভিযান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে।
এসময় খাদ্যশস্য বিতরণকালে পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ, পল্বব হোম দাশ, মোঃ ইসলাম উদ্দীনসহ বিভিন্ন প্রশানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য শস্য বিতরণকালে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী এক জোগে কাজ করে যাচ্ছি এবং গনপরিবহন ও গনজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবাই যার যার বাসায় অবস্থান করছে এই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। এইজন্য যারা দিনমজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ আছে যাদের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে তাদের জন্য আমাদের ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা এসেছে। ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার জন্য একশত মেট্রিক টন চাল ও দশ লক্ষ টাকা নগদ পেয়েছি। এগুলো আমরা আমাদের উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে বিতরন করা শুরু করেছি। আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিগন মিলেই যারা খুবই অসহায়, দরিদ্র, দিন মজুর, গরিব খেটে খাওয়া মানুষ আছে তাদের প্রত্যেককেই আমরা ১০ কেজি চালসহ ডাল আলু তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো দিচ্ছি। এ ছাড়া যাদের বাড়িতে শিশু আছে তাদের জন্য আমরা খাবারের ব্যবস্থা করবো। আমি আসা করি সবার সহযোগিতা নিয়ে বর্তমান যে অবস্থা আছে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা প্রতিরোধে একসাথে কাজ করবো এবং মোকাবেলা করতে পারবো। তাই করোনা ভাইরাস থেকে আমরা কেউ মুক্ত নয়। তবে বাঁচতে হলে সচেতন হতে হবে। ব্যক্তি সচেতন হলেও চলবে না। সচেতন করতে হবে পুরো সমাজ, পুরো দেশকে। আর প্রশাসনের পাশাপাশি যদি বিত্তশালীরা করোনা মোকাবেলায় এগিয়ে আসে তাহলে কাজটি সরকারের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।