আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কালা-হিজলিয়া এলাকায় পাউবো’র ভেড়ী বাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। শতাধিক হাত বাঁধে ভাঙ্গন ও ভায়বহ ফাঁটল ঠেলে যে কোন সময় খোলপেটুয়া নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। স্বেচ্ছাশ্রমে ও শ্রমিক নিয়ে প্রাথমিক ভাবে বাঁধ রক্ষার কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা রোববার সকালে বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।
শ্রীউলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলিয়া ও কোলা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধের প্রায় ১০০ হাতের মতো এলাকার বড় অংশ শনিবার (২৮ মার্চ) বিকালে নদী গর্ভে চলে যায়। এর পরপরই স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরের জোয়ারে যাতে বাঁধটির অবশিষ্ট অংশ ভেঙ্গে না যায় সে জন্য শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, সাবেক মেম্বার ইদ্রিস আলির নেতৃত্বে এলাকার মানুষ বাঁশ, গাছের ডাল ও মাটির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করান হয়। রোববার সকাল থেকে পুনরায় কাজ করান হচ্ছে। রোববার সকাল ১০টায় বাঁধ পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবতী ও পিআইও সোহাগ খান। এ সময় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ইদ্রিস গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাঁধের অবস্থা এখনো ভয়াবহ। দ্রুত বাঁধটি রক্ষায় বড় ধরনের কাজ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে শেষ রক্ষা সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তখন পূর্বের মতো প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলিয়া গ্রাম ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালীসহ বহু গ্রাম ও মৎস্য ঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মীর আলিফ রেজা বলেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। এলাকার মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে তিনি আহবান জানান। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, আজকে পানি যাতে না ঢোকে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে। কাল (সোমবার) এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বাঁধের কাজ শেষ করবো ইনশাল্লাহ।