করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রংপুরে মাঠে কাজ করছে র্যাব। হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলাসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নিয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। জনসাধারণের জমায়েত বন্ধ করাসহ রাস্তায় বের হওয়া লোকদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
রোববার (২৯ মার্চ) সকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাতে টহল দিয়েছে র্যাব-১৩। প্রতিদিনের ন্যায় আজও ঘরে ছেড়ে রাস্তার বের হওয়া লোকজনকে সঙ্গরোধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
বিশাল গাড়ির বহর আর হুইসেল বাজিয়ে হ্যান্ড মাইকে প্রচার করে ঘরে থাকার আহ্বান। সচেতনতামূলক এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হওয়া লোকজনকে সতর্ককরণ, ঘরে থাকার গুরুত্ব এবং করোনা মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে অবগত করেন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এ সময় রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা করা যুবকদের জেরা করেন। আবার নিম্ন আয়ের মানুষসহ দিনমজুর ও শ্রমিকদের জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে থাকতে বলেন তারা।
মাস্ক ছাড়া বের হওয়া লোকজনকে মুখে মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে অটো রিকসার চালকদের সচেতন করেন। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মাইকিং করে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে মোটর সাইকেল, সাইকেল বা অন্য যানবাহন নিয়ে বের হতে নিষেধ করা হয়।
এ ধরণের কার্যক্রম প্রসঙ্গে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, আমরা জনগণকে এই ভয়াবহ মহামারির সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে উৎসাহিত করছি। মূলত সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে টহল ও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে হচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ধনী-গরীব সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে দেখলে ঘরে ঢুকে যাওয়া, আর ফিরে গেলে বাহিরে চলে আসা, এই ধোঁকা র্যাব, পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীকে নয়। যারা এটা করছেন তারা নিজের দেশ, পরিবার এবং নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছে।
এদিকে নিয়মিত টহল ও সচেনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি নগরীতে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করছে র্যাব-১৩। এসবের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃ্দ্িধ রোধে বাজার মনিটরিংসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কার্যক্রম চলছে। রংপুর ডিবি পুলিশের সচেতনতা মুলক প্রচারণা