সাধারণ ছুটি পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক লোক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফিরেছেন। তাদের বাসায় পৃথক (হোম কোয়ারেন্টি) খাবকে সরকারিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকে মানছেন না। এতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় অন্যরা উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা পেয়ে দলে দলে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন লোকজন।
উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, গ্রামের মানুষ এমনিতে সচেতন কম। তার ওপর ছুটি পেয়ে গ্রামে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খয়েরবাড়ী বাজার কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হক বলেন, ছুটি পেয়ে পার্শ্ববর্তী মধ্যমপাড়ায় অন্তত ১৫ থেকে ২০জন লোক ঢাকা থেকে বাড়ী এসে হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে নিজ খেয়ালখুশি মতো হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে গ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কয় পড়েছেন গ্রামবাসীসহ হাটবাজারের লোকজন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে ফিরে আসায় একই রকম ঝুঁকিতে থাকার কথা জানিয়েছেন আলাদিপুর গ্রামের কলেজছাত্রী বৃষ্টি রাণী, ঘাটপাড়া গ্রামের নিপ্পন রায়, হরহরিয়া গ্রামের আবদুল মতিনসহ শিবনগর, লালপুর, উত্তর লক্ষ্মীপুর, জয়নগর, পাঠকপাড়া, মেলাবাড়ী, কাজীহাল, পুখুরী, বেজাই, বারাই, শিবপুর, আটপুকুর, জলপাইতলী, আমড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসানুর হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন গ্রামে ফিরে আসায় অবশ্যই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। একজনের মাধ্যমেই জীবাণু গ্রাম থেকে শহরে বিস্তার লাভ করতে পারে। এ কারণে গ্রামে ফিরে আসা লোকজনকে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম চৌধুরী বলেন, গ্রামে ফিরে আসা লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এটা কেউ না মানলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।