দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অবৈধভাবে ট্রাক পারাপারে কথিত সাংবাদিকদের অনৈতিক সুবিধা গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ, সার্জেন্টকে প্রভাবিত করে ফেরিতে ট্রাক পারাপার করে থাকে এ সকল কথিত সাংবাদিক।
এবার অবৈধভাবে ট্রাক পারাপার করতে বাঁধা দেওয়ায় কর্তব্যরত সার্জেন্টকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুজন খন্দকার নামে কথিত এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। সুজন স্থানীয়ভাবে পরিচালিত একটি ইউটিউব চ্যানেলের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দেন।
হুমকির প্রসঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সঞ্জিব কুমার মিত্র জানান, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অবৈধভাবে সুজন একটি পণ্যবাহী ট্রাককে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৬২৬৭) ফেরিঘাটের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা ট্রাকটিকে আটক করে মামলা দেই। এর কিছুক্ষণ পর সুজন পুলিশ বক্সে এসে আমাকে গাড়ীটি ছেড়ে দিতে বলে। আমি তার কথা না রাখায় সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তিনি আরো জানান, সুজন দীর্ঘদিন ধরে ঘাট এলাকায় পরিবহনের দালাল হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া যৌনপল্লীর একজন বাড়ীওয়ালা হিসেবেও তাকে চিনি। এ ছাড়া তিনি পাবনা হতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক কিশোরীকে পাচার করে এনে বিক্রির অপরাধে গত ১৩ মে ২০১৮ সালে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন বলেও জানি। এর মধ্যে সে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সাংবাদিক হয়েছে তা আমার জানা ছিল না।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দালালদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে কথিত সাংবাদিক সুজন খন্দকার গত রোববার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি ৬ জনকে আসামি করেছেন। সুজন একটি ইউটিউব চ্যানেলের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে এজাহারে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
এজাহারে সুজন খন্দকার উল্ল্যেখ করেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবৈধভাবে সিরিয়াল ভেঙ্গে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে ফেরিতে যানবাহন ওঠার ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা পরিবহন দালাল মাসুদ মোল্লা (২৮), সাহিন (২৮), শামিম (২৭), সোহান (২৫), মিলন (৩২) ও রানা (৩০) তাকে মারধর করে জখম করে। তারা তাকে ভিডিও করতে বাধা দেয়া ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, সুজন খন্দকারের উপর হামলার ঘটনায় রোববার বিকেলে থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।