চলমান করোনা ভাইরাস এর কারনে অতি দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রান বিতরনে সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরে তা নিরসনে সমন্বয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দ্রুত একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন সাপ্তাহিক রাজগৌরীপুর সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল। রবিবার তিনি তার ফেইসবুক একাউন্ট থেকে এ সম্পর্কিত একটি পোষ্ট প্রকাশ করলে দ্রুত তা ভাইরাস হয়, এবং উক্ত পোষ্ট এর সাথে সকলে ঐক্যমত পোষন করেন। তার পোষ্টটি ছিল নিন্মরুপ
উপজেলায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষন করছি : করোনার প্রভাবে জনজীবনে দুর্ভোগ লাগবে জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ সদস্য,ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধি, উপজেলা ছাত্রলীগ, যুগান্তর স্বজন সসমাবেশ, এসো গৌরীপুর গড়িসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ জোরালো ভাবে ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাস সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও সক্রিয় ভাবে ত্রান বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করছে,যা অবশ্যই গৌরীপুর উপজেলাবাসির জন্য স্বস্তিদায়ক।
উক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুলো যদি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ত্রান কার্য পরিচালনা করে তবে অধিক সুফল পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস। কারন পরস্পর সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রান কার্য পরিচালনা না করলে দেখা যাবে তারা ঘুরেফিরে সকলেই পৌর এলাকার কিছু স্পটে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির কাছেই বারবার ত্রান পৌছে দিচ্ছে । পাশাপাশি প্রতিদিনই ময়মনসিংহ বা বিভিন্ন স্থান থেকে অনান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা ত্রান বিতরন করতে আসছে তারাও প্রায় সবাই গৌরীপুর পৌর শহরের মধ্যেই ত্রান বিতরন কার্যক্রম সিমাবদ্ব রাখছে। যে কারনে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে ত্রান কার্যক্রম ব্যহত হবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিবে । এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রনে উক্ত ব্যক্তি ও সংগঠনের সমন্বয়ে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ হটলাইন চালু করা হলে ত্রান বিতরনসহ করোনা মোকাবেলায় তা অধিক কার্যকর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমাদের সকলকে দল মত নির্বিশেষে সমস্ত গ্রুপিং-লবিং এর উর্ধ্বে থেকে করোনার ভয়াবহ বিস্তার রোধে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা প্রয়োজন। বিষয়টি বিবেচনার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।।