গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারি আদেশ। যানবাহন ও পথচারিদের চলাফেরা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে করোনা আতঙ্কে এলাকাবাসি। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও সাধারণ ও অসচেতন নিম্ন আয়ের মানুষজন জীবিকার তাগিদে বাড়ির বাহিরে বেড়িয়ে পড়েছে। সোমবার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫০০ জন নিম্ন আয়ের পরিবারদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা ও হাট-বাজার ঘুরে ফিরে দেখা গেছে পথচারি ও যানবাহনের বেপরোয়া চলাফেরা। কথা হয় অটোবাইক চালক এরশাদ আলী সাথে। তিনি বলেন, অটোবাইক চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। গত ৪ হতে ৫ দিন ধরে ঘরে বসে আছি। সরকারিভাবে এখন পযর্ন্ত কোন প্রকার সহায়তা পায়নি। যার কারণে সংসার চালানোর কোন পথ না থাকায় অটো নিয়ে সড়কে নেমে পড়েছি। রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জোবাইদুর রহমান চান্দ জানান, নিম্ন আয়ের পরিবারদেরকে ঘরের ভিতরের রাখতে হলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। তা না হলে শ্রমিকদের সংসার চালানো কষ্ট হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আনিছুর রহমান জানান, এ পযর্ন্ত উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং নিম্ন আয়ের পরিবারদের জন্য ৪০ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে পৌরসভায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুজ্জআমান সরকার জানান, উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভাল। তবে হোম কোযারেন্টাইনের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮০ জনে দাড়িয়েছে। আইসলুসন কেন্দ্রে রয়েছে ১ জন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, সেনাবাহিনী প্রতিদিন টহল দিচ্ছে। তিনি বলেন প্রশাসনের একার পক্ষে সচেতনতা বাড়ানো কষ্টকর। তিনি টহল জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে।