বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার পশ্চিম বাগধা এলাকায় গত সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগের সমর্থকদের দুগ্রুপের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ১০ জন। আহতদের হাসপাতালে নেবার পথে হামলা। হাসপাতাল বেডে ভর্তি রোগীর উপরে হামলা। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গ্রুতর আহত চার জনকে পৃথক ভাবে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল, আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও বাগধা ইউনিয় আ.লীগ সভাপতি ইউনুছ আলী মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক বজলু হাওলাদার জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের মৃত কহিল উদ্দিন সরদারে ছেলে মোকলেছ সরদার (৫০) এর সাথে একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধার মজিবর খানের ছেলে শিক্ষক মো. অদুদ খান (৩৭) এর কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মারামারি বাধে এত উভয় আহত হয়। স্থানীয়রা আহত মো. অদুদ খানকে মাহেন্দ্র গাড়ী যোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে ওঁৎপেতে থাকা মোকলেছ সরদারের ছেলে সজিব সরদার (২৪) ওই গাড়ীর উপরে হামলা চালায়। হামলায় গাড়ীর থাকা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সত্তার খানের ছেলে ইমরান খান (৩০) আহত হয়। এসময় স্থানীয়রার সজিব সরদারকে মারধর করে আহত করে। আহতদের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তিকরা হলে সজিব সরদারের অবস্থা গুরত হওয়াতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওয়ার্ডে ভর্তি মো. অদুদ খান এর উপরে পূর্ণরায় হামলা চালায় মোকলেছ সরদার।
পূর্ণরায় হামলার কারনে অদুদ খান ও ইমরান খানের নিরাপ্তার কথা ভেবে তাদেরকে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই মো.তৈয়ববুর রহমান একদল পুলিশনিয়ে বাগধার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।