ভোলাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধের কমিটি মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে নিজস্ব কার্যালয়ে জরুরী সভার আয়োজন করে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াজদানী জর্জের সভাপতিত্বে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনা বাড়াতে ব্যাপক আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো হয়।
সভায় ইউনিয়নের বিশেষ স্থানে চেকপোষ্ট বসানো, কাঁচা বাজারে মার্ক চিহৃ অঙ্কন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর রাখা, বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, করোনা প্রতিরোধ তহবিল তৈরী করাসহ বিভিন্ন প্রকার সচেতনতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়। ৫ স্তরের ২শত জন স্বেচ্ছাসেবী দল তৈরী করেবিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব বন্টন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী দলের ১মত স্তর একজনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জনসাধারণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে। ২য় স্তরেও ৫ সদস্য বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী দলহোম কোয়ারেইন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের/পরিবারকে তদারকি এবং সার্বিক প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান করবেন। ৩য় স্তরের ৫সদস্য বিশিষ্ট দল ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামে জীবাণুনাশক স্প্রে এবং সচেতনতামূল প্রচারনা চালাবে। ৪র্থ স্তরের ৭ সদস্য বিশিষ্ট সদস্য সামাজিক দূরুত্ব বজায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। ৫ম স্তরের ৭সদস্য বিশিষ্ট দল সঠিক ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা, অসুস্থ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ, তদারকি এবং সহায়তা প্রদান করবেন। ৫টি স্বেচ্ছাসেবী দলের সার্বিক সহায়তার জন্য কাজ করবে একজন ওয়ার্ড মেম্বার একজন গ্রাম পুলিশ ও একজন স্বেচ্ছাসেবক আহবায়ক। স্বেচ্ছাসেবী এ দলগুলো মঙ্গলবার থেকে গ্রাম পর্যায়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান ইয়াজদানী জর্জ। তিনি জানান, সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবী দল অব্যহতগতিতে সচেতনতামূল কাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে তার ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধ তহবিল তৈরী করা হয়েছে। বিত্তবানসহ যে কেউ যে কোন প্রকার সহায়তা প্রদানে সকলের নিকট আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ০১৭১৩-৭২ ১০ ০৫ বিকাশ নাম্বারে অথবা অফিসের রশিদের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।