ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া তথ্য মতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে স্বাস্থ্য বিভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন বা বাড়িতে পর্যাবেক্ষনে রেখেছেন ১৮৫ জন প্রবাসীকে। নির্ধারিত ১৪ দিন শেষ হওয়ায় ১৫৮জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে এই জেলায় ২১০ জন প্রাবাসী এসেছেন তারা সবাই পর্যাবেক্ষনে রয়েছে। চিকিৎসার জন্য ৫১টি বেড সরকারী হাসপাতালে তৈরী করে রাখা হয়েছে। ৬৫জন ডাক্তার ও ১২৮ জন সেবিকাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৫০টি পিপিইর মধ্যে ইতোমধ্যেই ২৫০ টি বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরন করা হয়েছে। ১৬টি আইসোলোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পৈরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে এপর্যন্ত ১৫৪ মে.টন খাদ্য ও ৮.৫ লাখ টাকা বরাদ্ধা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৩৯৫০টি পরিবারের মধ্যে ৩৯.৫ মে.টন খাদ্য সহায়তা ও ৭১৪৫০০ নগদ অর্থ ইতিমধ্যেই পৈরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরন করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে সেনাবাহীনির তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে এজন্য মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। জরুরী কোন প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেনা। পুলিশ, র্যাবসহ অনান্য নিরাপত্তা বাহিনীরমত র্যাবও শহরের সড়কে মহড়া দিচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় টহল দিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন তারা। ঝালকাঠিতে কোন ক্যাম্প না থাকলেও প্রতিদিনই লেবুখালী সেনা ক্যাম্প থেকে এসে শহরের বিভিন্ন ওলিগলিতে গিয়ে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করাচ্ছেন। তারা জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করছেন বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে।