লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাজীপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী খোয়াজ আহমেদের বসতঘর ভাংচুর,লুটপাট করে। এসময় হামলাকারীরা ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী খোরশেদ আহমেদ এবং তার স্ত্রী আরজু বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রী কে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে ৫জনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানা এজাহার দায়ের করেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার উত্তর হাজীপুর ফজু পাটোয়ারী বাড়ির সহেল হোসেনের পরিবারের সাথে একই বাড়ির খোয়াজ আহমেদের পরিবারের দীর্ঘ দিন যাবত নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সহেল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোয়াজ আহমেদ বলেন,সহেল এক বছর পুর্বে আমাকে জিম্মি করে ৮৭ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। কয়েক দিন যাবত আবার চাঁদা দাবী করে। তার বেধে দেওয়া সময়ে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সহেলের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের গ্রুপ বসতঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা,দুইটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অভিযুক্ত সহেল বলেন,খোয়াজ আহমেদের ছেলে আজাদ হোসেন এক বছর পুর্বে আমার ২য় শেন্রীতে পড়–য়া মেয়েকে ইভটিজিং করে আত্মগোপন করে। কয়েকদিন পুর্বে বাড়িতে আসতে বিষয়টি সমাধানের জন্য তার মা-বাবার কাছে যাই। মঙ্গলবার ওদের বসতঘরে বিচারের জন্য গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,আহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী আরজু বেগমের দায়ের করা এজাহার তদন্ত করে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।