করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ২ হাজার ৪৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিন শেষে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ না পাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে বরগুনা জেলা হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশেই বিদেশফেরত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২ হাজার ৯৩৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল ও বরগুনা জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি। বাকি চার জেলায় ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং বিভাগের ছয় জেলায় মোট ৩৪০ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তিন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। এ ছাড়া শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিসিআর মেশিন এসে পৌঁছেছে। যেটি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।