ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের আঃ মালেক দেওয়ানের ছেলে রফিক দেওয়ান (৩০) এর বসত বাড়ীতে বুধবার দুপুর দেড় টায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে তিনটি টিনের ঘর আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে ওই পরিবারের একটি বসতঘর, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘর পুড়ে ছাই হয়। এ সময় আগুন নিভাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গর্ভবতি পুত্রবধু চায়না আক্তার (২২) ও এক প্রতিবেশী স্বাধীন শেখ (২০) আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্নিকান্ডের পর এলাকাবাসী আবাদি বোরো মাঠের নলকুপের পানি সরবরাহ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভুত তিনটি ঘর ও মালামাল মিলে ওই পরিবারের প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছেবলে জানা গেছে।
অগ্নিকান্ডের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো. কাউছার ও চরভদ্রাসন থানার এসআই খায়রুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পরিদর্শন করেছেন। এদের মধ্যে স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও শিল্পপতি আলহাজ্ব মো. কাউছার আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দান করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত কর্তব্যরত স্থানীয় তিন সাংবাদিকের মাঝে তিন সেট করোনা প্রতিরোধক পোষাক সামগ্রী (পিইপি) বিতরন করেন। এসব সাংবাদিকবৃন্দ হলো-দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মো. মেজবাহ উদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের স্থানীয় প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল ও দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকা প্রতিনিধি আবদুস সবুর কাজল। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে সরকারিভাবে ১০০ কেজি চালও বিতরন করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে রান্না শেষে গৃহবধু চুলোর আগুন কয়লা বসতভিটে একপাশে ফেলে রাখে। ওই ছাই আগুন বাতাসে উড়ে গিয়ে বসতঘরে অগ্নিকান্ডর সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে পুরো বাড়ী আগুনে ছেয়ে গেলে এলাকাবাসী পার্শ্ববতী ফসরী মাঠের ইরি ব্লকের নলকুপ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময়ের মধ্যে ওই পরিবারের তিনটি ঘর সহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে ওই পরিবারের আট মাসের অন্তঃস্বত্তা গৃহবধু চায়না আক্তার উঁচু জায়গা থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হওয়া সহ প্রতিবেশী স্বাধীন শেখ আগ্নিদ্বদ্ধ হয়।