ফরিদপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক দম্পতির কফ, থু থু ও লালা পরীক্ষার করার জন্য পাঠানো হলো আন্তর্জাতিক রোগ তত্ত্ব রোগ নিরাময় ও গবেষা কেন্দ্র (আইসিডিইআর)এ। একই সাথে একই উপসর্গ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন অপর আরেক রোগীরও উপাত্ত ও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই দম্পতিসহ মোট তিনজন বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই দম্পতিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ওই গ্রামে এক ব্যাক্তি ঢাকায় ইজিবাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহী করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তিনি জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনের সহায়তায় তাকে ও তাঁর স্ত্রীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকার চারটি বাড়ি হোম কোয়ারন্টোইন করা হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসক নিয়ে এ জাতীয় রোগী পরীক্ষার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে আগেই। বুধবার ওই বোর্ডের সদস্যরা ওই দম্পতিকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের আইসিডিইআর-এ পাঠানোর সুপারিশ করেন। কিন্তু রোগীরা ঢাকা যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের কফ, থু থু ও লালা সংগ্রহ করে বিকেলে ঢাকার আইসিডিইআর-এ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্রদলীয় সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন বুধবার বিকেলে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৬জন চিকিৎসক ও ১৪জন নার্সকে ২৫ সেট পিপিই প্রদান করেন। এছাড়ার দেওয়া হয় এক বাক্স হ্যান সেনিটাইজার।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে আরও ১৮জনকে হোম কোয়ারেনটান করা হয়েছে। বর্তমানে এ জেলায় মোট ৪৬২জন হোম কোয়ারেনটান-এ আছেন।