সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মরণ ব্যাধি করোনা সংক্রামন প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চত করতে উপজেলা প্রসাশন পুলিশ প্রসাশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রাণপ্রন চেষ্টা করেও ব্যার্থ হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে নানা মুখি নিদের্শনা ও করনীয় বিষয় প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে আগামী ৭ দিনের সংক্রমন ব্যাপকতা লাভ করার আভাস দিচ্ছে। সে মতে উপজেলা প্রসাশন, স্থানীয় জন প্রতিনিধি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গ্রাম পুলিশ, আনসার ভিডিবি সদস্য, বিভিন্ন বে-সরকারি সংস্থা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে লিপলেট বিতারণ, মাইকিং করে সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে প্রাণন্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের ভ্যান চালক, দিন মজুর, চা-দোকানী, সেলুন ব্যবসায়ী, ধোপাসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ পেটের দায়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে। সরকারি, বে-সরকারি ও স্থানীয় প্রভাবশালি নেতৃবৃন্দ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে জনৈক ভ্যান চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যে চাউল বিতারণ করা হচ্ছে তা কজনেরই বা ভাগ্যে জোটে। যাও বা জোটে তা দিয়ে ২ দিনের খাবারও চলে না। নিরুপায় হয়ে পরিবার পরিজনের খুদা চাহিদা মেটাতে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাস সমন্ধে জানা শর্তেও ঘরে বসে থাকতে পারি না। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর শহিদুল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) আক্ষেপ করে বলেন, পুলিশ দেখলে পালিয়ে যায়, পুলিশ স্থান ত্যাগ করা মাত্রই আবারও গন সমাগমে ভরে উঠে। এ ধোঁকা পুলিশকে দিচ্ছে না এ ধোঁকা দিচ্ছেন নিজেকে, পরিবারকে, সমাজ ও রাষ্ট্রকে।