পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরীফ এমপি আর নেই। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নালিল্লাহে রাজেউন)। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাবনা জেলার কিংবদন্তি এই নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমের পুত্র গালিবুর রহমান শরীফ এবং সাকিবুর রহমান শরীফ কনক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, ১৯৪০ সালের ১০ মার্চ তিনি জন্মগ্রহন করেন। এ বছরই বিপ্লবী এই নেতা ৮০ বছর পূর্ণ করে ৮১তে পা রেখেছিলেন। বিগত প্রায় ৭ মাস যাবত তিনি বার্ধক্য ও দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি লন্ডনে যান উন্নত চিকিৎসার জন্য। লন্ডন হতে ফিরে কিছুদিন ভাল থাকার পর অসুস্থ হলে আবারো ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান হতে তাঁকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রায় দুই মাস চিকিৎসা গ্রহণের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে আবারো তাঁকে ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। ইউনাইটেড হাসপাতালেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্টপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, বিশিস্ট শিক্ষাবীদ পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ ও বিদেহীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতিসমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন। শামসুর রহমান শরীফ ডিলু পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পরপর পাঁচবারেরর নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।