করোনা উপসর্গ (শ্বাসকষ্ট,জ্বর, ও ডায়রিয়া) নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির পর ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা রেজাউল করিম নামে এক ব্যাক্তির মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় একই উপজেলার কামানখোলা গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ীর ১৫টি পরিবারকে লক ডাউনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত রেজাউল শ্বাসকষ্ট,জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যান। এর আগেও তিনি অসুস্থ্য ছিলেন বলে জানা যায়। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৯ জন বেড়ে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন ১৫৭০ জন। এদের মধ্যে আইন আইনসোলেশনে এক জন ও প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টইনে এক জন রয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টইনে শেষ হয়ে যাওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১২৮৯ জন।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জানান, তিনি প্রশাসনের নিদের্শে লক ডাউন করা বাড়ী গুলো পুলিশসহ বাহাড়া দিচ্ছেন। যাতে করে কেউ যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে।
অপরদিকে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হক বাচ্ছু জানান, তবে বৃদ্ধেও শ্বাসকষ্ট,এজমাসহ আরো রোগে ভোগছিলেন তিনি। কি কারনে মারা গেছে সেটা জানেন না তিনি।
জানাগেছে, বৃদ্ধর দুই ছেলে ইটালিতে থাকে। এছাড়া তাদের পাশ্ববর্তী বিদেশ ফেরত সম্প্রতি দেশে আসে। হোম কোয়ারেন্ট না গিয়ে পার্শ্বেও মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। এর পর বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করোনা সন্ধেহে পাশ্ববর্ত ১৫ টি বাড়িতে করোনা সন্ধেহে লক ডাউন করে গ্রাম পুলিশসহ তিন পুলিশ দিয়ে পাহাড়া বসিয়েছেন প্রশাসন। এ নিয়ে ওই এলাকা ও আশপাশের মানুসের মাঝে করোনা আতংক দেখা দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: আব্দুল গফ্ফার জানান, শ্বাসকষ্ট হয়ে আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাতে এক বৃদ্ধ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় । পরে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ নমুনা শনাক্ত করে রির্পোটের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এছাড়া মৃদ্ধার পারিবারিক কবরস্থানে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ দাপন করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ১৫ টি বাড়িতে করোনা সন্ধেহে লক ডাউন করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৯ জন বেড়ে ১৫৭০ জন হোম কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আইন আইনসোলেশনে এক জন ও প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টইনে এক জন রয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টইনে শেষ হয়ে যাওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১২৮৯ জন।