পাবনার চাটমোহরে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বড়সিঙ্গা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত উভয় পক্ষের ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন বড়সিঙ্গা গ্রামের দুলাল হোসেন (৬০),জালাল হোসেন (৬৫),মামুন হোসেন (৩০),সাইফুল ইসলাম (৩২),নওশের প্রাং (৪৫),রফিক আলী (৬৫),নাঈম (২০),আব্দুল্লাহ (২২),জয়নাল (২০),আমেনা খাতুন (৩০),মর্জিনা খাতুন (৪৫),মোস্তফা (৪০),পিপুল (২০) ও মিরাজ(২০)। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। নওশের ও দুলাল গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি,এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,কয়েক দিন আগে আয়নাল হোসেনের ছেলে মিনাজ আলী দুলাল হোসনের পক্ষের জমি থেকে রসুন তুলে আনে। এনিয়ে মিরাজকে চোর সাব্যস্ত করে মারপিট করে জখম করে। মিরাজ বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসাপাতাওে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে হেলালের ছেলে মামুন চাটমোহর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথন ঘাটে আবজালের ছেলে জয়নালের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মামুনকে মারপিট করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান,পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। আহতদের চিকিৎসা চলছে।