নেত্রকোনার পূর্বধলায় করোনা পরিস্থিতে উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দ্রব্যাদি দোকান খোলা থাকবে, হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও নিরাপদ দূরত্ব থেকে পণ্য ক্রয় করতে হবে। গতকাল পাঁচটার পরে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকল প্রকার দোকান এর কিছু আংশিক কোন কোন দোকান সম্পুর্ন খোলা রয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ী ও অনেক মানুষই গণবিজ্ঞপ্তি, নিরাপদ দুরত্ব কোনটাই মানছে না। যদিও উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছেন। গণজমায়েত ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত টহল দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও প্রায়ই টহল দিয়ে দিচ্ছেন। গতকাল ও আজ ৫ মার্চ উপজেলার প্রায় ২০টি বাজার বিশেষ করে মৌদাম বাজার, বিশ্বাসপাড়া মোর, বহুলী বাজার, দুধি বাজার, ঘাগড়া চৌরাস্তা বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার, বিশকাকুনী মোড়,রুই বাজার, বালুচড়া বাজার, চৌরাস্তা বাজার,পূর্বধলা বাজার, স্টেশন বাজার, ঘুরে দেখা যায় নিয়মিত বাজারের মতোই সব বাজারে লোকজনের সমাগম রয়েছেও চার দোকান খোলা রয়েছে, অনেকে আবার দোকানের পিছনে দিয়েছে। কেউ আবার নিজ বাড়িতে, অনেকেই আবার চায়ের দোকান সামনে দিকে বন্ধ করে পেছনে চায়ের দোকান বসিয়েছে। সেখানে প্রচুর লোকের সমাগমও রয়েছে। এদিকে হাট কান্দা বাজার, আগিয়া বাজার, হোগলা বাজার, পরিদর্শন করে দেখা যায় একই চিত্র। অনেকেরই দাবি উপজেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনি ও পুলিশ প্রশাসনের টহল দেয়ার পরেই আবার আগের মতোই খোলে বসে পরে লোকজন। কোন কোন চা এর দোকানে টিভি সহ আড্ডা দিচ্ছে লোকজন। এমন চিত্রই দেখা গেছে বাজার ও পথের চা এর দোকান গুলিতে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমের সাথে আলাপ করে জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়েছে, ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটানো হয়েছে, হাসপাতালে আইসোলেশন কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।পূর্বধলা মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ৩৩ শয্যা বিশিষ্ট কোয়ারেনটেন স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট নিয়মিত পরিচালনা করছেন।,মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে ঘরে থাকার জন্য সচেতন করছেন।উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নিয়মিত টিম করে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে ৫০ হাজার স্যানিটাইজার প্রস্তুত ও বিতরন করা হচ্ছে। ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটানোর কাজ নিয়মিত চলছে। গরিব অসহায়দের ঘরে থাকার জন্য নিয়মিত ত্রান বিতরন অব্যাহত আছে। পূর্বধলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তাওহীদুর রহমান জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ টহলের মাধ্যমে গনজমায়েত,বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে জনসাধারণ এবং গন্যমান্য,নেতা,নেত্রী, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সম্পূর্ন করা সম্ভব। নিয়মিত টহল প্রদানে কোনো ঘাটতি আছে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনো ঘাটতি নেই সাধ্য অনুযায়ী সকল পুলিশ নিয়ে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।সকলের সহযোগিতা পেলে আরো বেগবান হবে বলে আমার ধারনা।