বাগেরহাটের মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে ফকিরহাটের ভৈরবের উপর দিয়ে পাথরঘাটার পদ্মবিল হয়ে ওয়াসার যে পানির লাইনটি খুলনা মহানগরে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে এখন তা ভৈরব নদী খননের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট বিশ্ব রোড গোডাউন মোড় এলাকায় ভৈরব নদীর উপর দিয়ে এই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ওয়াসার পাইপটি গেছে। ভৈরব নদী খননের জন্য গত এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই পাইপ লাইন নদীর আরও গভীর থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন বা অভিযোগ করলেও কোনো সুরহা হয়নি। নদী খননের এক-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন হলেও ওয়াসার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত নেই বললেই চলে।
পানির লাইনটি যখন ফকিরহাটের উপর দিয়ে ভৈরব নদী হয়ে নেয়া হয়েছিল তখন সেই সময়ের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিগন পাইপ লাইনের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা ওয়াাসা কর্তৃপক্ষকে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলেন যে অদূর ভবিষ্যতে ভৈরব নদী খননের সময় এই পাইপ লাইনটির জন্য নদী খননে একটা বড় ধরনের বিঘœ ঘটাবে। কিন্তু ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সকলের কথা উপেক্ষা করে রাতের আধারে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো সামান্য গভীরতা দিয়েই লাইনের কাজ সম্পন্ন কওে চলে যায়। ভৈরব নদী খননের প্রায় সকল জায়গায় খাল খনন কর্তৃপক্ষ কাজে হাত দিলেও এই পাইপ লাইনের স্থানটি পূর্বের ন্যায় পড়ে আছে। এ বিষয়ে ভৈরব নদী খননের জন্য বিআইডব্লিউটিএ'র এখানে দায়িত্বরত ম্যানেজার মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি নয়া দিগন্তকে জানান, গত একমাস আগে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করলেও তারা এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আশা করছেন বিষয়টি দ্রুত ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। এদিকে নদীর এই অংশটুকু পাইপ লাইনের জন্য খনন না করতে পারলে নদীতে নৌযান চলাচল ও নদীতে পলি পড়ে নদীর নাব্যতা দ্রুত কমে যাওয়া সহ জনমনে তৈরি হয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন।