জেলার গৌরনদীতে নব্য আওয়ামী লীগ নেতার বালু বাণিজ্যের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে মামলা দায়েরের সংখ্যা চারটি। এ ছাড়া সোমবার সকালে শিবলী নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
নতুন করে রোববার মধ্যরাতে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করেছেন হামলায় গুরুত্বর আহত সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সুজনের মা শিরিনা বেগম। মামলায় প্রধান আসমি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভ্ইূয়াসহ ২৫ জনকে।
সোমবার সকালে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহামুদের মা মিনারা বেগমের দায়েরকরা মামলার অভিযুক্ত আসামি শিবলীকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নব্য আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুজ্জামান ঝিলামের বালু বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে গৌরনদীতে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ সাতজন পুলিশ সদস্য ও ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় দুইটি বাড়ি, ছাত্রলীগ নেতার ব্যক্তিগত একটি অফিস ও ১৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।