নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সোমবার রাতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে রমজান আলী (৩৮) নামের আরো একজন মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে তিনিসহ দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কিছমত বারেঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে। তিনি শ্যামগঞ্জ বাজারের রহিমের খাবার হোটেলে কাজ করতেন। এ ঘটনায় তার বাড়িসহ আশপাশের ৭ বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত রোববার সকালে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের এক নারী মারা যান। শ্যামগঞ্জ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ওয়াহীদুর রহমান খান মামুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে রমজান সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই তিনি মারা যান। ডা. মামুন আরো জানান, কয়েক বছর আগে রমজান আলীর টিবি রোগ হয়েছিল। পরে সে সুস্থ ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, যেহেতু মারা যাওয়ার আগে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাই রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।