কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মক্রবপুর ইউনিয়নের টুয়া গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করে। জমির মালিক নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করে। পলিশ দু' জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সমাজপ্রতিদের সমঝোতায় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তাদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ জমির মালিকের আত্মীয় স্বজনের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলো, একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩২), তার স্ত্রী রুনা বেগম (২৪), মাহবুবল হকের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪৫), তার মেয়ে জেনি আক্তার (১৭), মফিজুর রহমানের স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫১)। আহতদের প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা যায়, টুয়া গ্রামের সাবেক মক্রবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ও নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন জমি দখলের চেষ্টা করে একই গ্রামের হাছানুজ্জামানের ছেলে মহিন উদ্দিন ও মক্রম আলীর ছেলে আবদুল মালেক। জমির মালিক মিজান বাধা প্রদান করলে তারা তাকে ধাওয়া করে। মিজান বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তাদের দু’জনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সমাজপ্রতিদের সমঝোতায় থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তাদের নেতৃত্বে টুয়া গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে ফরিদ, জানে আলম, মৃত আলী আক্কাসের ছেলে রমিজ, আফতাব উদ্দিনের ছেলে তনু মিয়া, তার ছেলে ইউসুফ, ফারুক, চাঁন মিয়ার ছেলে পেয়ার আহম্মদ, মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে মনিরসহ ৪০-৫০ জনের সঙ্গবদ্ধ একটি গ্রুপ বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে গুরুতর আহত করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শন এস আই সোহেল মিয়া বলেন, আমরা কয়েক বার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমরা চলে আসলে তারা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।