কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাজেরা বেগম (২৮) নামক এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোরে তিনি জ্বর, ডায়রিয়া ও গলাব্যাথায় মারা যান। একদিনের ব্যবধানে নাঙ্গলকোটে দুইজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় স্থাণীয় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া (কাঠালিয়াপাড়ার) সিরাজ মিয়ার মেয়ে হাজেরা বেগম (২৮) কে রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের নিকট বিয়ে দেয়া হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। হাজেরা বেগম স্বামীর বাড়িতে জ্বর, ডায়রিয়া ও গলা ব্যাথায় আক্রান্ত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মঙ্গলবার গভীর রাতে বাবার বাড়িতে চাচাতো ভাই পল্লী চিকিৎসক রাশেদুল ইসলামের কাছে নিয়ে আসা হয়। রাশেদুল চিকিৎসা দেয়ার পূর্বেই বুধবার ভোরে হাজেরা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়ার পরপরই নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই তড়িগড়ি করে তাকে স্বামীর বাড়ি নিয়ে দাফন করা হয়।
পল্লী চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম জানান, হাজেরা বেগমের অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত আমার কাছে নিয়ে আসা হয়। আমি চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মারা যান।
নাঙ্গলকোট পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈন উদ্দিন বলেন,আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন তথ্য জানা নেই। কেউ আমাদেরকে অবহিত করেননি। খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করছি।
নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেক ওই নারী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য করোনার উপসর্গ জ্বর, ডায়রিয়া ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে মোশাররফ হোসেন ( ৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার দোলখাঁড় ইউনিয়নের দোলখাঁড় তালুকদার বাড়ির আলী আক্কাছের ছেলে। সে নর্সারী ব্যবসায় জড়িত ছিল। তাঁর ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরন করেছে। গতকাল দুপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দাফনে গঠিত উপজেলা দাফন কমিটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী তাঁর দাফন সম্পন্ন করেছে।