করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নড়াইল থেকে চারজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানোর পর তা নেগেটিভ হয়েছে। এক্ষেত্রে কারোর শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে শহরের দক্ষিণ নড়াইল এলাকায় করোনার উপসর্গে মৃত শওকতের বাবা-মাসহ তার দুলাভাই এবং সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা শহরের আলাদাতপুরের কলেজছাত্র আছেন। এর ফলে নানা আলোচনা-সমলোচনা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত আজগুবি খবরের অবসান হলো।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পাতলা পায়খানা, গা ব্যাথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে গত ৩১ মার্চ রাত ৯টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে শওকত আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, করোনা সন্দেহে মৃত্যু শওকতের বাবা এবং ভাইও অসুস্থ হয়েছেন। যদিও এ খবরের কোনো ভিত্তি ছিল না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ভুয়া খবর প্রচারের পর ক্ষুদ্ধ হন শওকতের বাবা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। এমনকি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। শওকত শহরের দক্ষিণ নড়াইলের ওমর আলীর ছেলে এবং তিনি রূপগঞ্জ বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন।
সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেন জানান, রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে পাওয়া রিপোর্টে ওই চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া এ পর্যন্ত নড়াইলে ৫২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।