বেশি দামের মেমোরী কার্ড কম দামে বিক্রির ঘটনা উদঘটন। পরে জানা যায় মেমোরীও চুরি করা। একপর্যায়ে এক বছর আগে শামীমের বাড়ী থেকে চুরিকৃত নয় হাজার টাকার তথ্যও উদঘাটন।এবার সেই উদঘাটনের স্বীকারোক্তি মোবাইলে রেকডিং করলেন শামীম।আর সেই চুরিকৃত টাকা ফেরত না দিলে মেমোরী চুরি ও টাকা চুরির রেকর্ডিং স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি শামীমের। হুমকিতে মান সন্মানের ভয় পেয়ে এবার চুরিকৃত টাকা আপসে ফেরত দিতে শামীমকে ডেকেছিলো তাদের বাড়ী থেকে কিছুটা দুরে এক ভুট্রা ক্ষেতে একই এলাকার বাল্য বন্ধু হাসান। তবে বিরোধবাধে নয় হাজার টাকার বদলে পচিশশত টাকায় চুরির সমাধান করা। হত্যার স্বীকার শামীম পশিচশত টাকায় মানবে না। আর চোর বন্ধু হাসান সেই টাকার বেশি দিতে পারবে না। ঘটনা ধামা চাপা দিতেই বাধ্য হয়ে শামীমকে শ্বাস রোধে হত্যা করে ভুট্রা ক্ষেতে ফেলে রাখে হাসান। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউপির পারকুন্ডা দিঘীয়া এলাকায়। এই তথ্যগুলো বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন ঐ এলাকার ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী। হত্যার স্বীকার শামীম(১৮) একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। আর হত্যকারী হাসান(২০) একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ চোথা মিয়ার ছেলে। দুজনেই তারা পৃথক ঢাকা ও ঠাকুরগাঁও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত বুধবার(৮এপ্রিল) সন্ধায় নিখোজ হয় শামীম। পরে অনেক খোজাখুজি করার পর রাত এগারোটায় ভুট্রা ক্ষেত থেকে উদ্বার করা হয় শামীমের নিথর দেহ। হত্যা করে স্বাভাবিকভাবে ঘুরছিলো হাসান। লাশ উদ্বারের পর সন্দেহ জনক ভাবে ধরা হয় তাকে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল ও থানা পুলিশের সামনে হত্যার কথা ও পূর্বের সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে হাসান বলেন, আমি একাই শামীমকে মাটিতে মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার হাত পা বেধে রাখি। স্বীকারোক্তির পরে তাকে আটক করে থানায় নেই পুলিশ। লাশ উদ্বার করে পাঠানো হয়েছে ঠাকুরগাঁও মর্গে।ঘটনার তদন্তকারী রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক(তদন্দ) খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসানকে হত্যা মামলায় ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।