রংপরের পীরগঞ্জে পাচারকালে ত্রানের ৯০বস্তা চাল,ট্রলি চালক, হেলপার ও শ্রমিকসহ ৩ জনকে আটক করেছে ভেন্ডাবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি বড়দরগাহ সড়কের গুর্জিপাড়া কলেজের সন্নিকটে ট্রলিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আটক ট্রলি, চাল ও ধৃত ব্যক্তিদের পীরগঞ্জ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে বর্ণিত স্থানে ৯০ বস্তা চালসহ ট্রলি আটক করা হয়। এ সময় ট্রলির ড্রাইভার মিঠাপুকুর উপজেলার গুপিনাথপুর গ্রামের জমশের আলীর ছেলে ইসমাইল (৩০), হেলপার পীরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে রিয়াদ(১৮) ও শ্রমিক ভেন্ডাবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৩)কে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাতেই উপজেলার পন্তাপুকুরে নুন্না মিয়ার ছেলে চাল ব্যবসায়ি রবিউলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রবিউল পালিয়ে যায়। এদিকে ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ট্রলি চালকের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির আলোকে জানান, পান্থাপুকুর, বিশলা ও ভেন্ডাবাড়ীসহ ৪ স্থান থেকে ৫০ কেজির ওই ৯০ বস্তা চাল সাদুল্লাপুরে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রলিতে পাঠানো হয়। এর মধ্য ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মন্ডলের বাবা মনোয়ার হোসেনের গুদাম ঘরের সামন থেকে ৩৮ বস্তা চাল ট্রলিতে উঠানো হয়। মনোয়ার হোসেন ওই এলাকার একজন ওএমএস ডিলার। এ বিষয়ে মঞ্জুর হোসেন মন্ডল জানান, তার বাবা বিধি সম্মতভাবে ওএমএস এর চাল বিক্রি করে আসছে। তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি মহল। জানা গেছে, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের পান্থাপুকুর গ্রামের নুন্না মিয়ার ছেলে চালের ব্যাপারী রবিউল ইসলাম ওই ট্রলির মাধম্যে চালগুলো ক্রয় করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাদুল্ল্যাপুরে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছিল। এদিকে রবিউলকে গ্রেফতার করতে গিয়েও ব্যর্থ হয় পুলিশ। সে এখনও পলাতক। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকৃতদের জবানবন্দী রের্কড করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ত্রাণ নাকি ওএমএস এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এদিকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।