নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে করোনা সংক্রমনে কর্মহীন হয়েপড়া পরিবারের মাঝে গণ জমায়েত করে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সাজু’র বিরুদ্ধে। ৮এপ্রিল বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ জনসমাগম এর ঘটনা ঘটে।
সকাল ১১টার দিকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এ চাল বিতরণ করা হয়ম। সরকারি বরাদ্দের পাঁচ টন চাল পাঁচশ পরিবারের মাঝে দশ কেজি করে বিতরণ করার কথা ছিলো। সকার ৯টার দিকে গাধাগাধি করে রৌদ্রে লম্বা লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখে তাদেরকে। চাল নিতে নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সদস্য ছিলো দুই শত। প্রচন্ড রোদে তিন ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখে। অনেকে চাল না নিয়ে বাড়িই ফিরেছে। মাষ্টার রোলে ফাঁকা রেখেই চাল দেয়া বন্ধ করে দেয়। ইউপি সদস্য আসমা আক্তার মাষ্টার রোল ফাঁকা রেখে ও অনেকে চাল না নিয়ে ঘুরে যাচ্ছে এ বিষয় জানতে চাইলে উপস্থিত জনতার সামনে ইউপি সদস্যকে গাল-মন্দ করেণ চেয়ারম্যান। এসময় টহল দিতে থাকা বারমারী বিওপি সদস্যরা গণ জমায়েত বন্ধ করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নিষেধ করলে তিনি তাঁদের কথা কর্ণপাত করেননি। তিনি আইনের উর্দ্ধে উঠে চালিয়ে যাচ্ছেন এ ধরণের নানা কর্মকান্ড। সরকারি বিধি নিষেধ তোয়াক্কা করছেন না তিনি। তাঁর এ ধরণের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে চাইলে বিভিন্ন সময়ে নাজেহাল হয়েছেন ইউপি সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের সাথেও অসদাচরণ করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অনেকে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। চাল নিতে আসা ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ১০ কেজি চালের মধ্যে ৮/৯ কেজি চাল পেয়েছেন অনেকে। গণজমায়েত করে চাল বিতরণের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিলে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে আপলোড ব্যক্তিদের ঐ পোষ্টটি মুছে ফেলার জন্যে নানা ধরণের হুমকী দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,করোনা মহামারি আকার ধারণ করছে চারদিকে। চাল বিতরণে গণজমায়েত এর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকে উপস্থিতদের সামনে অপমান করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা কি আমার অপরাধ। অভিযোগ উঠেছে,দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন,সকাল সাড়ে দশটার দিকে পরিষদে পৌঁছান। উনি বিতরণ কার্যক্রম এর সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ফেসবুক চালাতে বসেযান। সেখানে ঘন্টা খানেক থেকে চলে আসেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার নাসির উদ্দিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণজমায়েত হয়েছে। তবে কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব হয়নি। আমি ঘন্টা খানেক সময় ছিলাম সেখানে। অনেকে চাল পাননি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটি আমার জানা নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, চাল বিতরণে কাউকে কম দেওয়া হয়নি। তবে জমায়েত নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি। মাষ্টার রোল ফাঁকা রাখার কোন সুযোগ নেই।