করোনা ভাইরাসের ভয়ে দশেরে অনেক ডাক্তার ও চিকিৎসরা তাদের চাকুরি ছেড়ে দিচ্ছে। আবার প্রেইভেট চেম্বার গুলোতে রোগিদেখা বন্ধ করে দিয়েছে অনেকে। আর সেই মূহুতে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা সদরে মেসার্স নাছরিন মেডিকেল হল-এ নিয়মিত রোগিদেখছেন জীবনের ঝুঁকিনিয়ে ডাক্তার মো. জাহিদুল ইসলাম। গত বুধকার তার চেম্বারে গিয়ে দেখা গেছে দুর-দূরান্ত থেকে আসা রোগির ভির।
স্থানীয় একাধীক সূত্রে জানাগেছে, আগৈলঝাড়ায় উপজেলা সদরে মেসার্স নাছরিন মেডিকেল হলে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নিয়মিত রোগিদেরসেবা দিয়ে আসছে ডাক্তার মো. জাহিদুল ইসলাম। এব্যাপারে কথা হয় ডাক্তার মো. জাহিদুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন, আমি সাকাল ৮টা থেকে চেম্বারেবশি দুপুরে খাবারে জন্য এক ঘন্টা বিরতি নেই আর রাত এগারটা পর্যন্ত রেগিদের সেবা দিয়ে আসছি। প্রতিদিন মারামাড়ি, সড়কদূর ঘটনা, হাত ভাঙ্গা-পা ভাঙ্গা, কাঁটা-ছেড়া, পেটেব্যথা, মাথাব্যথা রোগিসহ গড়ে প্রায় শতধীক রোগী চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসতেছি। কাঁটা রোগিদের সেলাই দিতে একার পক্ষে অনেক কষ্টহয়। আমি সরকারি ভাবে কোন সহযেগিতা পাচ্ছিনা। আমার প্রোটেক্টর এর জন্য একটি সেফটি পোশাক দরকার।
গতকাল বুধবার বিকেলে ডাক্তার জাহিদের কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী দের সাথে কথাবলে জানাযায়। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জবসেন গ্রামের সহিফুল পাইক বলেন, আমার মাথা কেঁটে গেছে দুই জন ডাক্তারে কাছে গিয়েছি, তারা আমার চিকিৎসা দেয়নি। আমরা ডাক্তার জাহিদের কাছে আসলে সে আমার মাথা কাঁটা সেলাই করে দেয়।
এছাড়াও উপজেলা সদরের ফল ব্যসমায়ী প্রকাশ মটরসাইকেল দূরঘটনায় হাত ভেঙ্গেযায়। প্রকাশ বলেন, আজকে ডাক্তার জাহিদ না থাকলে আমার হাত পেলাষ্টর করা হতো না। জাহিদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।
গৈলা ইউনিয়নের টেমার থেকে আসা সাইদুল বলে কোথাও কোন ডক্তিার না পেয়ে এখানে এসেছি। নওপাড়া থেকে আসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক মহিলা বলেন, ডাক্তার জাহিদুলকে দেখাতে আমার অনেক দুরথেকে এসেছি। কোথাও ডাক্তার পাই না। এই ডাক্তার যে ওষুধ দেয় আমার তাতে ভালো হয়ে যাই।