করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে রংপুরে কড়া অবস্থানে রয়েছে মহানগর পুলিশ। সড়কে জনসমাগম ঠেকানোসহ অহেতুক যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন আইনে শতাধিক মামলা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি এন্ড মিডিয়া) উত্তম প্রসাদ পাঠক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর মহানগরে সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ (উত্তর ও দক্ষিণ) ব্যাপক তৎপর রয়েছেন। প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ও মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে পুলিশ ডিউটি করছেন।
তিনি আরো জানান, বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশি চেকপোষ্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর আওতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১০১টি মামলা দায়ের করেছেন।
এ দিকে করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কারণে অকারণে বাহিরে বের হওয়া মানুষদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর আইন জারি করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতিত নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এই আইনে। একই সাথে বিকেল পাঁচটার পর মেট্রেপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকাতে সব ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে ছে।
তবে জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবেন। পুলিশের নতুন এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, করোনা ঝুঁকি এড়াতে সরকারি সব নির্দেশনা মেনে জনগণকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সড়কে বের হওয়া যানবাহনে অধিক যাত্রীর উঠানামা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। মোটরসাইকেলে শুধু মাত্র চালক, অটোরিকশাতে দুইজন যাত্রী এবং সাধারণ রিকশাতে এক জনের বেশি যাত্রী বহন করতে দেয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া বাহিরে বের হওয়া চালকদের বিরুদ্ধে সড়ক আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে।