সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় তরুণের উদ্যোগে তিনটি গ্রাম ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) থেকে সদরের কুঠিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। এরআগে গত মঙ্গলবার থেকে পৌরশহরের গোকুল ও মথুরা গ্রাম ‘লকডাউন’ করেন স্থানীয় একদল সচেতন যুবক।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার তিন ও চার নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গোকুল ও মথুরা এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কুঠিপাড়া গ্রামের প্রতিটি প্রবেশ মুখে বাঁশ দিয়ে করা হয়েছে অস্থায়ী ফটক। বহিরাগত কেউ যাতে এসব গ্রামে প্রবেশ করতে না পারেন এবং গ্রামের কেউ যাতে অযথা বের হতে না পারেন, সে জন্য ফটকে বসানো হয়েছে পাহারা। ফটকে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় তরুণরা। জরুরি কাজে বের হওয়া ও গ্রামে প্রবেশ করা মানুষদের শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক ওষুধ।
এছাড়া গোকুল-মথুরা গ্রামের কাউসার আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি ৪০ দিন তাবলিগ জামাত থেকে বুধবার বাড়ি আসে। তাকে বাড়ির আলাদা ঘরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনুরোধ করে ওই বাড়ির সামনে সর্তকমূলক একটি লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়। মানবসেবায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান ওই এলাকার হাজারো মানুষ।
তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, পৌরশহরের গোকুল, মথুরা ও কুঠিপাড়া গ্রামে বেশ কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে। সুরক্ষার জন্য বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও নিজেদের চলাফেরা সীমিত করেছে তিন গ্রামের মানুষ। এহেন সময় ওইসব গ্রামের অসহায় কর্মহীন মানুষকে সাহায্য আর সহায়তার জন্য যান তিনি। এসয়ম প্রবেশ পথে কয়েকজন যুবক তাকে সইচ্ছায় সাবান, হ্যান্ড ওয়াস ও গ্লোবস ব্যবহার করে গ্রামে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এটি ইতিবাচক উদ্যোগ বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুুমার মাহাতো বলেন, গ্রামবাসী নিজেদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। এভাবেই উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষ সচেতন হলে তানোরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।