ভোলার দৌলতখানে পরিবেশ দুষণকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দম্পতি সহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহতরা হলো, রফিজল হক(৮০), তার স্ত্রীআমিরুন নেছা (৬০), ছেলে আলাউদ্দিন (৪০) ওসমিরনবেগম(৩০)।রফিজল ও তার স্ত্রী ভোলা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোহেল বাড়িতে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে আলাউদ্দিন বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল ) বেলা সাড়ে ১১ টায় আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমাদের বাসারপার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে খোলা টয়লেট ব্যবহার করে আসছিলো। এতে করে পরিবেশ দুষণ সহ চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে। গত শনিবার (৪ এপ্রিল) আমার বৃদ্ধ বাবা রফিজল হক তাদেরকে খোলা টয়লেট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার কথা বলে। কথা কাটাকটিরএক পর্যায়ে আবুল কাশেমের ছেলে আশ্রাফ, মনোয়ারা, আকলিমা, সারমিন, আনোয়ার, আঃ রহমান, ও আবুল কাশেম আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে। এ সময় মা আমিরুন নেছা এগিয়ে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে।পরবর্তীতে আমি ও আমার স্ত্রী সমিরন এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা মারধর করে। এতে করে ঘটনাস্থলেই আমার বাবার মাথা ফেটে যায়। ওই ঘটনায় আমার বাবা ও মাকেভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে এবং আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আশ্রাফ জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে টয়লেটটি পরিস্কার করতে আমরা কোন লোকজন পাইনি। ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করে টয়লেটটি পরিস্কার রাখার চেষ্টা করেছি। ঘটনার দিন রফিজল হক গংরা আমাদের বাড়ি এসে টয়েলটি অপরিস্কার দেখে আমাদের গালমন্দ করে। এছাড়াও বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেএবং আমার বাবা আবুল কাশেম,মা মনোয়ারা, ভাই আনোয়ার, আঃ রহমান, আলিফ, বোন আকলিমাও ভাবি শারমিনকে পিটিয়ে আহত করে।
দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।