করোনা আতংকের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের তৃনমূলের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা সরকারী ত্রান কার্যক্রমের তালিকা প্রস্তুতসহ ইউপি নানাবিদ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
বাংলাদেশ ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ মাহাতাব আলী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় তৃনমূল পর্যায়ে ত্রান সামগ্রী সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় গনপরিবহন ও ছোট ছোট যানবাহন না চলাচল সীমিত হওয়ায় অনেক ইউপি সচিবরাই ইউপিতে সময় দিতে পারছেন না। এক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের ঝূঁকি নিয়ে ইউডিসিতে বসে কম্পিউটারের দিনরাত পরিশ্রম করে ত্রানের তালিকা করে যাচ্ছেন দীর্ঘ বছর বিনাবেতনে কাজ করে আসা ইউডিসি উদ্যোক্তারা।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দশ বছর যাতব ইউনিয়ন পরিষদে বিনা বেতনে পরিষদের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রের এই দুঃসময়ে ইউডিসি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলেও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী পদে কিছু জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালত থেকে রীটকারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হলেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক উদ্যোক্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ইউডিসিতে বসে উদ্যোক্তারা সারাদিন ত্রানের তালিকা করলেও উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে কারোই নজর নেই। ফলে পরিবার নিয়ে মানববেতর জীবনযাপণ করছেন অনেক ইউডিসির উদ্যোক্তারা।
একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, অনেক সময় পরিষদে সচিবরা না থাকলেও ইউডিসির দক্ষ উদ্যোক্তাদের দিয়ে পরিষদের কাজগুলো করা হয়ে থাকে। পূর্ব থেকে কাজ করা দক্ষ উদ্যোক্তাদের ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলে পরিষদের কাজে আরো গতিশীলতা আসবে বলেও মনে করেন একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানরা।