বাকেরগঞ্জের কৃষ্ণকাঠীতে শশুরের বিক্রিত জমি জবর-দখল করতে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু মাসুমের নির্মমতা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যের দখলকৃত জমি জবর-দখল করার জন্য তিনি নিজের শাশুড়ির মাথায় ব্লেড দিয়ে কেটে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে মামলা করার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক মোহাম্মদ নূর হোসেন গাজী সাংবাদিকের নিকট অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের শিক্ষক নূর হোসেন গাজী একই গ্রামের মরহুম মোতাহার তালুকদার, ভাই আলী আহমেদ তালুকদার, দুই বোন মাসুমা ও সাহিদার নিকট থেকে ২ একর জমি ক্রয় করেন। তিনি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগ দখল করছেন। জমির বিক্রেতা মোতাহারের জামাই এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু মাসুম হাওলাদার শ্বশুরের বিক্রিত জমি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ভূমিদস্যু মাসুম হাওলাদার ও তার স্ত্রী সাথী বেগম মঙ্গলবার সকালে নূর হোসেন গাজীর জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাঁধা দেয়। এনিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনাকে পুঁজি করে ভূমিদস্যু' মাসুম হাওলাদার ষড়যন্ত্র করে ওইদিনই তার শাশুড়ি কহিনুর বেগমের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল হাওলাদার, বশির গাজী ও সোহাগ হাওলাদার জানান, শিক্ষক নূর হোসেন গাজীদের জমির মাটি কেটে নেয়ার সময় মাসুম ও তার স্ত্রী সাথীর সাথে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে মারামারি কোন ঘটনা ঘটেনি। সামান্য বিষয়কে পুঁজি করে শিক্ষক নূর হোসেন গাজীকে ফাঁসাতে ভূমিদস্যু মাসুমের এ ষড়যন্ত্রের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপার ও থানা কর্মকর্তা ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।