চালু হওয়ার মাত্র তিনদিনের মধ্যেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে মেশিনের বায়োসেফটি কেবিনেট নামে একটি যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষনিক সেটি পরিবর্তন করা হলেও এতে করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আগের চেয়ে কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসক। তবে এতে সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ অসীত ভূষণ দাস।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি অবহিত করেছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ অসীত ভূষণ দাস। এ সময় সার্বিক বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষর সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সহযোগী অধ্যাপক একেএম আকবর কবির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ল্যাবে কাজ করার সময় পিসিআর মেশিনের সহায়ক মেশিন বায়োসেফটি কেবিনেটে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি অধ্যক্ষসহ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানোর পর তারা প্রথমে বায়োসেফটি কেবিনেট মেশিনের চেয়ে কম সক্ষমতাসম্পন্ন একটি মেশিন তড়িঘড়ি করে প্রতিস্থাপন করে। বর্তমান মেশিনের সক্ষমতা আগের মেশিনের চার ভাগের একভাগ।
শুক্রবার রাতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম সাংবাদিকদের জানান, আরটি-পিসিআর মেশিনের বায়োসেফটি কেবিনেটে ত্রুটির কথা জানতে পেরে তিনি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে করোনা পরীক্ষার ল্যাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। গত দুইদিনে ওই ল্যাবে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন চারজন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
পিসিআর ল্যাবে কাজ করতে আগ্রহী ॥ শেবাচিম হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার অনুমতি চেয়েছে চারজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ওই চার টেকনোলজিস্টের লেখা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) সিরাজুল হক, মাহামুদ হাসান নবীন, মিথিলা ফারজানা ও রজনী আক্তারের পাঠানো পৃথক ওই আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, তারা বরিশাল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সদস্য। যারা প্রত্যেকে জাতির এ দুর্যোগময় মুহুর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের কাজে নিজেদের নিয়োগ করতে চান। তাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তারা কাজ করতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে ওই চার টেকনোলজিস্ট সাংবাদিকদের জানান, তারা বরিশালের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। তাই নিজেরা সেচ্ছায় সেচ্ছাসেবক হিসেবে পিসিআর ল্যাবে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান। ফলে তারা ইতোমধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবরে আবেদন করেছেন।