করোনাভাইরাসে আক্রান্ত টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনারদেউলি পশ্চিম পাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন কে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে মধ্যে রাতেই তাকে কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন ১২০ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে।
গত ৩ দিন যাবৎ আক্রান্ত মহিউদ্দিন ও তার ভাই সালাম গ্রামে যত্রতত্র ঘোরাঘুরি এবং চা স্টলে আড্ডা দেয়ায় এ নিয়ে এলাকার জনসাধারণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, রসুলপুর ইউনিয়নের মোঃ রুস্তম আলী ছেলে মহিউদ্দিন দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্তমানে এ সমস্যা জটিল আকার ধারন করায় সে সম্প্রতি তার ভাই সালামের গাজীপুর অবস্থিত বাসায় গিয়েছিলেন কিডনি ডাইলোসিস করতে। পরে ডাক্তারের পরামর্শে সে জাতীয় কিডনি ডিজিস এ- ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। সেখানে নিউমোনিয়া দেখা দিলে ডাক্তাররা তাকে করোনাভাইরাস টেস্ট করার পরামর্শ দেয়। গত মঙ্গলবার মহিউদ্দিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস টেস্টের স্যাম্পল দিয়ে সরাসরি তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে গত দুই দিন সে গ্রামে ঘুরেছেন এবং চা স্টলে আড্ডা দিয়েছেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি এমদাদ সরকার জানায় সে(মহিউদ্দিন)কিডনি সমস্যায় ভুগছিলো গত শনিবার চিকিৎসা করতে ঢাকায় গেলে নিউমোনিয়া দেখা দিলে ডাক্তার কে করোনা টেষ্ট দিয়ে গ্রামে চলে আসে পরে তাকে ঢাকা থেকে টিম এসে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(টঐঙ) মোঃ সাইফুল ইসলাম খান মুঠোফোনে জানায় পুলিশ এবং প্রশাসন এর সহযোগিতায় টাঙ্গাইল থেকে করোনা রোগির জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্ধ এর মাধ্যমে তাকে ঢাকা কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠনো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানায় যে বাড়িতে করোনা রোগি পাওয়া গেছে তার আশপাশে সংক্রামন রোধে ১২০টি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।